What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

রিভেঞ্জ অফ আ কুগার (সুমন-শুভ সিরিজ) by Ambol (1 Viewer)

Ochena_Manush

Master Member
Elite Leader
Joined
Aug 12, 2022
Threads
320
Messages
21,336
Credits
450,767
LittleRed Car
Automobile
Strawberry
Audio speakers
প্রফে সাপ্লি খাইয়া একরকম হতাশায় ধরলো। এই বয়সে মানিজ্জত লইয়া টানাটানি। শুভ কোনরকমে পার পাইয়া গেছে, কিন্তুক আমি রইয়া গেলাম পিছে। লাইব্রেরীতে নীতুর দুধ টিপতে টিপতে ফিজিওলজী পড়তাছি। নীতুও সাপ্লি খাইছে, ওর অবশ্য ভালো অজুহাত আছে।
পরীক্ষার একমাস আগে আমগো থিকা পাচ বছরের সিনিয়র বয়ফ্রেন্ড ওরে ছ্যাকা দিয়া বিয়া করছে। হোমিকোনোমিক্সের গাউছিয়া মার্কা একটা ছেড়িরে। বয়সে মনে হয় দশবছরের ছোট হইবো লোকটার থিকা। নীতু লগে আমিও কান্দি আর কানতে কানতে একজন আরেকজনের শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ চাপতে চাপতে পুরানা পড়া আবারো পড়ি। শুভ একটানা কল দিতেছিল, কয়েকবার ইগনোর করছি, হালায় তাও রিং দিতাছে, ধইরা কইলাম, কি রে বিরক্ত করস ক্যান?
- সুমইন্যা তুই কই?
- পড়তাছি জানস না
- তো? ফোন ধরতে কি সমস্যা, সকাল থিকা খুজতাছি
- কিল্যিগা?
- লাবনীর বিয়াতে যাবি না?
- নাহ, পরীক্ষার আগে কোথাও যাইতাছি না
- বিয়া তো তোগো পরীক্ষার কয়েকদিন পর, যাবি কি না বল, ক্লাসের কে কে যাইবো লাবনী জানতে চাইছে

লাবনী আমগো ক্লাসমেট, বন্ধের সুযোগে অর বাপে বিয়া দিতাছে। মাইয়াগো একটা সুবিধা, পাশ করার আগেই চোদাচুদির স্থায়ী বন্দোবস্ত হইয়া যায়, চাকরী পর্যন্ত ওয়েট করতে হয় না। শুভরে কইলাম, শোন এগুলা নিয়া চিন্তা করার ইচ্ছা নাই, পরীক্ষা হউক আগে, পরে দেখুম নে
- উকে, তাইলে লিস্টিত নাম উঠাইলাম তোর

নীতুর লগে যা করি কাপড়ের উপর দিয়াই করি, বেশী বিরক্ত করি না। এ দুর্দিনে ও যে তবু সারাদিন সঙ্গ দিতাছে সেইটা নষ্ট করা বোকামী হইবো। দেখতে দেখতে পরীক্ষা আইসা গেলো, চইলাও গেলো। লাবনীর বিয়ার কথা ভুইলাই গেছিলাম। বাসায় রেস্ট লইতাছি পরীক্ষার পরদিন, শুভ ঘরে আইসা হাজির, কি রে তোরে এইভাবে বিষন্নতায় ধরলো কেমনে? চল ঘুইরা আসি, মন ভালো হইয়া যাইবো
অনেক গাইগুই করলাম। শেষে রাজী হইতে হইলো। শর্ত নীতুরেও লইতে হইবো। এদিকে পোলাপান যারা আগে যাইবো কইরা কথা দিছিলো লাবনীরে তাগো নব্বই ভাগ পিছটান দিছে। লাবনীর বিয়া হইতাছে ওগো গ্রামের বাড়ী কটিয়াদীতে, ওর দাদার বড় নাতনী, ওগো বংশে একগাদা পোলার মধ্যে ও একাই মাইয়া। এইজন্য ঢাকায় না কইরা উপজেলা শহরে আয়োজন করছে। ঢাকাইয়া পোলাপানে এখন এমন হইছে ইন্টারনেট আর সেলফোন থিকা পঞ্চাশ গজের বেশী দুরত্বে কেও যাইতে রাজী না। কমতে কমতে পাচজনে আইসা ঠেকলো। আমরা দুইজন, নীতু, পলাশ আর তুষার।

বাংলাদেশের এই এলাকায় কখনও আসা হয় নাই। অনেক আগে একবার ময়মনসিং গেছিলাম, এরা বলতেছে কটিয়াদী নাকি কিশোরগঞ্জ জেলায়। মাইক্রোতে কইরা অনেক ঝক্কি ঝামেলার পর উপজেলা শহরে লাবনীর বাপের বাসায় পৌছাইলাম। ঢাকা থিকা কাউয়ার ডিসট্যান্স খুব বেশী না, কিন্তু এর মধ্যেই এরম ব্যাকওয়ার্ড জায়গা ছিল কে জানতো। ছোট শহরে বড় দোতলা বাসা। আত্মীয় স্বজনে অলরেডী ভইরা গেছে। আরো নাকি আসতেছে। গুজব যা শুনছি ঠিকই, ওগো ফেমিলিতে পোলার সংখ্যা মারাত্মক রকম বেশী, এমনকি আন্ডাবাচ্চা গুলাও পুরুষ প্রজাতির। শুভরে কইলাম, কি বালের বিয়া খাইতে আইলাম, আমগো বয়সী কোন মাইয়াতো দেখতাছি না
- হ, একটা সমস্যা বটে। নীতুরে সামালায়া রাখ, লোকাল পোলাপানে অলরেডী লোলাইতেছে

মাইয়া শর্টেজের চাইতেও বড় সমস্যা হইয়া দেখা দিল বাথরুম শর্টেজ। কেউ না কেউ অলওয়েজ বাথরুম দখল কইরা আছে। এমনেই আসতে চাইতেছিলাম না, তারউপর এইসব গ্যাঞ্জামে আমি মহা খাপ্পা। অপরিচিত লোকজনের মাঝখানে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা হইয়া আমরা পাচজনে সময় কাটাইতেছি। ছোট মফস্বল শহরে দেখার মত কিছু নাই। ঢাকা শহর এত দ্রুত বদলাইতাছে আর বাংলাদেশের মফস্বলগুলা দেখলে মনে হয় এখনও ১৯৮০ সাল চলে। লাবনী আমাগো দুর্দশা দেইখা আশা দিল, ওর খালাতো কয়েকটা বোন আসতেছে গায়ে হলুদের দিন রাইতে, তখন এত নিরামিষ লাগবো না। কি আর করা তার আগ পর্যন্ত শুভ আর আমি কাজের ছেড়ি গুনতে গুনতে সময় কাটাইতে লাগলাম।

মফস্বলের একটা জিনিশ ভালো, এইখানে খাওয়াটার মান ভালো থাকে, পরিমানও বেশী। বিনয় না কইরা খাইতেছি আর লাদাইতেছি। কয়েক পাউন্ড এক্সট্রা ওজন নিয়া যাইতে চাই এইখান থিকা। লাবনীরে জিগাইলাম, তোর বাপে কি করে রে?
- শিক্ষা অফিসার
- শিক্ষা অফিসারের এত টাকা? আলিশান বাড়ি, বিয়াতে জাকজকমের কমতি দেখতেছি না, সরকারী চাকরী কইরা এত টাকা কই পায়
- তা দিয়ে তোর কি দরকার
- জানতে চাইলাম আর কি
শুভ থামায়া দিয়া কইলো, সুমন গ্যাঞ্জাম করিস না, তোর কথা বলার আর কোন টপিক নাই? মাইয়াটা দাওয়াত দিয়া আনছে আর তুই তার বাপরে গাইলাইতাছস
- এহ, শালা, গালি দিলাম কখন রে, কৌতুহল দেখাইতেছি

লাবনীর বিয়াও হইতাছে এক সাবেক এমপির ভাতিজার লগে। দেশের ডান ঘেষা রাজনৈতিক দলের লোক। এরা আবার সবসময় খুব টাকাওয়ালা থাকে। রাজনীতির ডান দিকে অবশ্য আগাগোড়াই টাকাপয়সার সরবরাহ ভালো, সব দেশেই। ডানপাশে বইসা টাকা চুষতে সুবিধা মনে হয়। পোলায় নাকি এম্বিয়ে করছে কানাডা থিকা। কে কইবো আসলে এমবিএ করছে না বাপের টাকায় মাগীবাজী করছে। বিদেশী পোলা তারউপর নামকরা মালদার পার্টি ফ্যামিলি শুনলে বাংলাদেশে পাত্রীপক্ষের মাথা ঘুইরা যায়। ডাক্তার মাইয়াটারে তুইলা দিতাছে সম্ভাব্য বকলম পোলার হাতে।

গায়ে হলুদের দিন বিকালে মৈমেনসিং থিকা ওর সেই কথিত খালাতো বোনের দল আইলো। সর্বসাকুল্যে তিনটা গ্রহনযোগ্য নারী। লগে সাত আটটা পোলা। নারীগুলা আমাদের চাইতে কয়েকবছরের বড়ই হইবো। পলাশ আর তুষারও মুষড়ে পড়লো। ঢাকায় বকশী বাজারে পোলাপানে কত কি মজা করতাছে ভাইবা, ডিসিশন হইলো পরদিন রাইতে বিয়া খাইয়াই ভাগাল দিমু। শুভ কইলো, দোস কিছু মনে করিস না, পরিস্থিতি এরম হইবো স্বপ্নেও ভাবি নাই, নাইলে তোরে জোর কইরা আনতাম না। সমকামী বিয়াতেও মনে হয় এর চাইতে বেশী মেয়ে থাকে।হলুদ মাখামাখি শেষ হওয়ার আগে কারেন্ট গেলো গা। হ্যাজাক জ্বালাইয়া বাকিটুকু শেষ করা হইলো। আমরা কয়েকজনে ছাদে গিয়া উঠলাম। এত বড় অন্ধকার আকাশ অনেকদিন পর দেখতেছি। আড্ডা মারতেছিলাম, দেখি যে খিলখিল কইরা হাসতে হাসতে সেই খালাতো মাইয়াগুলা হাজির। কথায় কথায় পরিচয় হইলো, দুইজনে বিবাহিত আর অন্যজন ওয়েটিং লিস্টে আছে। একজনের আবার জামাই থাকে ইটালী। লেবার টেবার মনে হয়। উনিই পালের গোদা। জুলিয়া।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top